বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:দৈনিক করোনা সংক্রমণে রেকর্ড করল কলকাতা। একই অবস্থা গোটা পশ্চিমবাংলায়ও। শনিবার শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১২ জন। ফলে শহরে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৯ হাজার ১৫৪ জনে। আর এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। ফলে কলকাতায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৬ জনে। পাশাপাশি শহরে করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৮৩ জন। আর, সুস্থ হয়ে মোট বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৮ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
একদিনে সংক্রমণেও ফের রেকর্ড করেছে রাজ্য। এদিন শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১ হাজার ৩৪৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। শুক্রবার সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ১৯৮ জন। বৃহস্পতিবার সংক্রমিত হন ১ হাজার ৮৮ জন, বুধবার ৯৮৬ জন, মঙ্গলবার ৮৫০ জন, সোমবার ৮৬১ জন। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪৫৩ জন। রাজ্যে এখনও ৯ হাজার ৫৮৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে। এদিন করোনায় প্রাণ হারান ২৬ জন। শুক্রবারও করোনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার পর্যন্ত মোট ৯০৬ জন করোনা সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৬১১ জন। এর ফলে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ৯৫৯ জন। ফলে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার হার হয়েছে ৬৩.১১ শতাংশ।
এদিন যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই কলকাতার বাসিন্দা। এর পর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলার ৩২৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া নতুন সংক্রমিত ১৪৯ জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার। এদিন হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন। হাওড়ায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ জন। তবে এদিনের ইতিবাচক দিক হল, আলিপুরদুয়ারে সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১ জন। কোচবিহারে একজনও সংক্রমিত হননি। ঝাড়গ্রামেও নতুন করে কেউ সংক্রমিত হননি। বাঁকুড়ায় সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ২ হাজারের বেশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ হাজারের বেশি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন।
তবে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, হাসপাতাল থেকে যাতে করোনা রোগী ফেরানো না হয়। তবু বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে করোনার মোকাবিলা করতে চাইছেন। সেইজন্যই করোনা পরিস্থিতি তিনি সামাল দিতে পারছেন না।’ এদিকে, ইডেন গার্ডেন্সে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়া। তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে সিএবি পুরোপুরি সহযোগিতা করবে।